ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

hq720

ভাপা পিঠা বাংলাদেশ ও ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা যা প্রধানত শীত মৌসুমে প্রস্তুত ও খাওয়া হয়। এটি প্রধানত চালের গুঁড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরী করা হয়। মিষ্টি করার জন্য দেয়া হয় গুড়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নারকেলের শাঁস দেয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এটি একটি গ্রামীণ নাশতা হলেও বিংশ শতকের শেষভাগে প্রধানত শহরে আসা গ্রামীণ মানুষদের খাদ্য হিসাবে এটি শহরে বহুল প্রচলিত হয়েছে। ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩, রাস্তাঘাটে এমনকী রেস্তোরাঁতে আজকাল ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। এই পিঠা অনেক অঞ্চলে ধুপি নামেও পরিচিত। এর ধরনের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি ভাপা ও ঝাল ভাপা।ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

বাংলাদেশে এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন এবং আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান উঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের সময় পিঠার বাহারি উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। তবে এসকল পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা যা প্রধানত শীত মৌসুমে প্রস্তুত ও খাওয়া হয়। এটি প্রধানত চালের গুড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরি করা হয়। মিষ্টি করার জন্য দেয়া হয় গুড়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নারকেলের শাঁস দেয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এটি একটি গ্রামীণ নাশতা হলেও বিংশ শতকের শেষভাগে প্রধানত শহরে আসা গ্রামীন মানুষদের খাদ্য হিসাবে এটি শহরে বহুল প্রচলিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে এমনকি রেস্তোরাতে আজকাল ভাঁপা পিঠা পাওয়া যায়। ভাপা পিঠা রেসিপি ২০২৩

প্রাথমিক উপকরণঃ

  • চালের গুঁড়া ১ কেজি
  • নারিকেল ১ টা ( কোরানো )
  • গুঁড় কুচানো ( ২৫০ গ্রাম )
  • লবণ ( পরিমাণমত )
  • পানি ( পরিমাণমত )

অন্যান্য উপকরণঃ

  • ২ টুকরা সাদা পাতলা নরম কাপড়ের টুকরা
  • ছোট্ট ঢাকনা
  • পিঠা বানানোর জন্য ছোট গোল বাটি
  • পিঠা ভাপানোর জন্য ঢাকনা সহ বিশেষ পাত্র অথবা ভাপা পিঠার মাটির হাড়ি
  • চালনি

প্রস্তুত প্রণালীঃ

3-2

. একটি পাত্রে চালের গুঁড়া , লবণ ও অল্প অল্প পানি দিয়ে ঝরঝরে করে ভালো ভাবে মাখতে হবে যেন দলা পাকিয়ে না যায় , খেয়াল রাখবেন ঝরঝরে হতে হবে ।

২. এইবার এই চালের গুঁড়া চালনিতে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে চালতে হবে । ঝরঝরে সুজির দানার মত বের হবে ।

৩. কোরানো নারিকেলের অর্ধেকটা চেলে নেয়া চালের গুঁড়ার সাথে মাখতে হবে ।

৪. এইবার হাঁড়ির অর্ধেকটা পানিতে ভরে জ্বাল দিয়ে পানি ফুটে ভাপ ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে । ভাপা পিঠার জন্য বাজারে বিশেষ এক ধরনের হাড়ি পাওয়া যায় , সেটিও ব্যবাহার করতে পারেন । এই হাঁড়িটির ঢাকনার ঠিক মাঝখানে একটা ফুটো থাকে । হাড়ি কিনারায় বাতাস চলাচল আটকে দেয়া হয় তাই ভাপটা ফুটো দিয়েই বের হয় ।

৫. এখন পিঠার জন্য ছোট বাটিতে এক ফোটা তেল মেখে কিছু মাখানো চালের গুঁড়া দিয়ে তার উপর গুঁড় ছিটিয়ে দিতে হবে । এবং এর উপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । আলতো হাতে চেপে সমান করে ভাপা পিঠার আকার তৈরি করে নিতে হবে ।

৬. এবার বাটিটা ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে গরম পানির হাঁড়ির উপর উপুড় করে বসিয়ে দিতে হবে । এবার বাটিটা আস্তে করে সরিয়ে নিতে হবে । খেয়াল করতে হবে যেন পিঠা ভেঙ্গে না যায় ।

৭. কাপড়ের প্রান্ত গুলি মুড়ে এক জায়গায় করে বড় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যেন ভাপটা পিঠার গায়ে লাগে । ৫/৭ মিনিট ভাপে সেদ্ধ হলে ঢাকনা সরিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চেপে দেখতে হবে নরম হয়েছে কিনা । নরম হলে বুঝতে হবে পিঠা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত ।

bhapa-pitha-collage1

মুখরোচক পিঠা তো বানিয়ে ফেললেন। কিন্তু কিছু জরুরী বিষয় ভেবে দেখেছেন কি? পিঠা শুধু সুস্বাদু হলেই হবে না, সেই সাথে স্বাস্থ্যের উপযোগী হতে হবে। তাই পিঠা তৈরির সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ব্যবহার করে পিঠা বানাতে হবে। কিন্তু কোথায় পাবেন ভাল মানের পিঠা তৈরির উপকরণ?

 আরো জানতে ক্লিক করুন:

All About BCS Examination

SI Preparation A to Z 2023

46th BCS circular 2023

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি A to Z

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি ২০২৩

৪৬ তম বিসিএস সার্কুলার ২০২৩

পাটিশাপটা পিঠা রেসিপি

How to Lose Weight Fast?

How to loss body weight

ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

PCOS

ভাপা পিঠা Bhapa pitha বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠার মধ্যে অন্যতম প্রধান। ভাপা পিঠা ছাড়া শীতকাল, এ যেন কল্পনাই করা যায়না! অসম্ভব সুস্বাদু এই পিঠা সাধারণত চালের গুড়া আর গুড় দিয়ে তৈরী করা হয়, সাথে চাইলে যোগ করা যায় নারিকেলও, স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই দেখে এসেছি আমাদের মা, নানি, দাদিরা এই মজাদার ভাপা পিঠা বানাতে বসে যেতেন শীতের দিনগুলোতে। শীতের সকালে ভাপা পিঠার স্বাদ আস্বাদন করতে চান না এরকম বাঙ্গালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখন রাস্তাঘাটেও ভাপা পিঠা পাওয়া যায়, আর শীতকাল মানেই শহর জুড়ে দেখা যায় ভাপা পিঠার আয়োজন, অনেক মানুষকে দেখা যায় ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, পিঠা খাচ্ছেন।

শীতের পিঠা ভাপা পিঠা

ষড়ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। শীতকাল এগুলোর অন্যতম ঋতু। শীতকালে নতুন ধান ওঠে। সেই ধানে ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর উৎসব শুরু হয়। নতুন চালের গুঁড়া আর খেজুর রসের গুড় দিয়ে বানানো হয় নানা রকম পিঠা। এগুলোর নানা রকম নাম, নানা রকম রূপের বাহার। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা ছাড়া আরও হরেক রকম পিঠা তৈরি হয় বাংলার ঘরে ঘরে। পায়েস, ক্ষীর ইত্যাদি মুখরোচক খাবার আমাদের রসনাকে তৃপ্ত করে শীতকালে।

এ সময় শহর থেকে অনেকেই গ্রামে যায় পিঠা খেতে। তখন গ্রামের বাড়িগুলো নতুন অতিথিদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে। শীতের সকালে চুলার পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামের মতো শহরে শীতের পিঠা সে রকম তৈরি হয় না। তবে শহরের রাস্তাঘাটে শীতকালে ভাপা ও চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া অনেক বড় বড় হোটেলে পিঠা উৎসব হয়। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির একটি অন্যতম উপাদান। আর শীতের পিঠা আমাদের খাদ্যতালিকায় এনেছে বৈচিত্র্য।

 

Check Also

পাটিশাপটা পিঠা রেসিপি

পাটিশাপটা পিঠা রেসিপি

পাটিশাপটা পিঠা রেসিপি পাটিশাপটা পিঠা রেসিপি ষড়ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। শীতকাল এগুলোর অন্যতম ঋতু। শীতকালে …

x