ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

 ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

যেই গরম। তার ওপর প্রচণ্ড রোদের তেজ। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকলে তো আর চলবে না। কর্মসূত্রে তো বাড়ির বাইরে বেড়তেই হয়। আর এই রোদে বেড়নো মানেই ত্বকে ট্যান পড়তে বাধ্য। আর যে দাবদাহ কিছুদিন চলছে তাতে ইতিমধ্যেই হয়ত আপনার ত্বকের উপর এক পোচ কালো প্রলেপ পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এমনটা বেশিদিন চলতে থাকলে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হতে বাধ্য। তাই গ্যালারিতে রইল সাত দিনে ফর্সা হওয়ার কিছু টিপস। ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।

 ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়:

টমেটো:

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লাইকোপেন নামক একটি উপাদান, যা সব ধরনের ত্বকের দাগ মিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মৃত কোষের স্তর সরিয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ১-২টি টমেটো ব্লেন্ডারে দিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।

কলা:

একটি কলা চটকে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন পেস্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায়। তবেই কিন্তু ভালো কাজ দেবে।

ডাবের পানি:

দিনে দুইবার যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায়, তাহলে ত্বক ফর্সা হতে একেবারে সময়ই লাগে না। শুধু তাই নয়, মুখের নানাবিধ দাগ মেটাতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুণ কাজে আসে।

হলুদ:

হলুদকে ন্যাচারাল কসমেটিকস বলা যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে এন্টি-এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই মসলাটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার উপযোগী। এটি এলার্জি, ব্রণ, র‍্যাশ দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও ত্বককে মসৃণ করে। হলুদে এন্টিসেপটিক ও এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকার কারনে এটি ত্বকের ফাংগালজনিত সমস্যা দূর করে। এছাড়া ত্বকের পিগমেন্টেশনজনিত সমস্যা দূর করতেও হলুদ অত্যন্ত কার্যকরী।সপ্তাহে একবার কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগাতে পারেন। যদি হাতের কাছে কাঁচা হলুদ পাওয়া না যায় তবে রান্নায় ব্যবহার করার হলুদ গুড়োকেও একটুখানি পানি মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন।

অ্যালোভেরা:

ত্বক পরিচর্যায় অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি অন্যতম ও সেরা উপাদান। অ্যালোভেরা একই সাথে ত্বকের সব রকম সমস্যারই সমাধান। এটির এতোই উপকারিতা রয়েছে যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা। এটিকে ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার বলা চলে। কেননা এটি সহজেই ময়শ্চারাইজারের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী পাতার রস ত্বকের মেছতা ও দাগ ছোপ সহ ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে। এটি ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে। এটি নরমাল স্কিন থেকে শুরু করে সব ধরনের স্কিনের জন্যই উপযোগী।

আলুর রস:

আলুতে থাকা ব্লিচিং উপাদান ত্বককে ব্লিচ করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ফর্সা করে। আলুর রস ত্বকের জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ দূর করে। পিম্পল, একনি, ডার্ক সার্কেল, পুরনো দাগ ছোপ, মেছতা, হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করতে আলু অত্যন্ত কার্যকরী।

মুলতানি মাটি:

মুলতানি মাটিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা ত্বককে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে তোলে। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণের সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। মুলতানি মাটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে। যাদের স্কিনে বয়সের ছাপ ও ট্যান পড়ে গেছে তাদের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক খুবই উপকারী। ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।

শসা:

শসার রস খুবই ভালো টোনারের কাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে এন্টি-এক্সিডেন্ট রয়েছে। শসা ত্বককে হাইড্রেট করে। এটি নির্জীবতা দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে কোমল ও ফর্সা করে। শসা ব্লেন্ড করে এর পানি নিংড়ে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন। এটি দিনে যেকোনো সময় মুখে স্প্রে করতে পারেন। টোনারের পরিবর্তেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।

ফেস প্যাক:

(১)

২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। মুখে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(২)

১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখে শাইন আনবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।

নাইট ক্রিম বানানোর ঘরোয়া উপায়:

ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা আবশ্যক। ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ারে নাইট ক্রিম খুবই কার্যকরী। আজকাল বাজারে বহু নাইট ক্রিম পাওয়া যায় যার বেশিরভাগই বিভিন্ন ক্ষতিকর ও চড়া কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। আর যেসকল পণ্য আসলেই মানসম্মত ও ব্যবহার উপযোগী সেসকল পণ্য অনেকটাই দামী হয়ে থাকে যা হয়তো সবার পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হয় না। ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।কিভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া যায়?

এখানে আমরা একটি ঘরোয়া নাইট ক্রিম বানানোর পদ্ধতি দেখাবো, যা আপনি খুব সহজেই ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেই এটি তৈরির পদ্ধতি-

যা যা লাগবে: একটি আপেল, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল, আধা কাপ অলিভ অয়েল ও দু-তিন চিমটি জাফরান। 

  • প্রথমেই আপেল ও জাফরানকে একত্রে একটি স্মুথ পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • এবার পেস্টটিতে গোলাপ জল ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিক্স করে নিন।
  • মিক্সটিকে একটি এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে নিন।

এটি ফ্রিজের নরমালে সাত দিন পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাবার আগে একটুখানি ক্রিম মুখে লাগিয়ে নিন। এটি ত্বকের ময়শ্চারাইজ ধরে রাখবে ও স্কিনের ড্যামেজ রিপেয়ার করবে। এটি ড্রাই টু কম্বিনেশন অর্থাৎ সব ধরনের স্কিনের জন্যই ব্যবহার উপযোগী।ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় ।

সকল প্রকার চাকরির খবর জানতে ক্লিক করুন :

http://www.chakrirbazer.com

LGED Final Result 2023 (Work Assistant)

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি ২০২৩

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি A to Z

ভাইভা প্রস্তুতি

৭৪ পদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (biwta) তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

৩৯ পদে কর কমিশনারের কার্যালয়,ঢাকাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

পুলিশের এসআই রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি

এরকম আরো টিপস পেতে আমাদের সাইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ শেষ অবধি সাথে থাকার জন্য।

 

 

x